তার স্ত্রী সালমা রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় মুশফিককে পাওয়া যায়। পরে ফোন করে তাকে স্বামীর খবর দেওয়া হয়।
“ওকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আত্মীয়-স্বজন সুনামগঞ্জে যাচ্ছে।”
মুশফিকের খোঁজ পাওয়ার তথ্য গুলশান থানাকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানান সালমা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুশফিক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, গত কয়েক দিন তাকে কোথাও আটকে রাখা হয়েছিল। সে সময় তার সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করা হয়। শারীরিকভাবেও তাকে নির্যাতন করা হয়।
তবে সুনামগঞ্জে কীভাবে গেলেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি এই সাংবাদিক। তিনি শুধু বলেছেন, তাকে একটি গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে পল্লবী এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে গুলশানে মামা এজাবুল ফকিরের কাছে গিয়েছিলেন মুশফিক। মামার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মুশফিক নিখোঁজের পেছনে কোনো সন্দেহ করছেন কি না- জানতে চাইলে সালমা সেদিন বলেছিলেন, “গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দির (কুমিল্লা) একটি স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি জিডিও করা হয়েছিল।”