চট্টগ্রাম ব্যুরো ।।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরশন (সিসিসি) নির্বাচনের প্রচারে ‘সর্তকতা’ অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী।
সোমবার সকালে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুই প্রার্থী প্রচারের কৌশল ও প্রতিশ্রুতিসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
সেখানে আলোচনায় আসে নির্বাচনী প্রচারে করোনাভাইরাস বিষয়ক সর্তকতা অবলম্বনের বিষয়টি। সব প্রার্থীর প্রচারে করোনাভাইরাস বিষয়ক সচেতনতা একটি অংশ হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
প্রতীক বরাদ্দ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেশায় চিকিৎসক শাহাদাত বলেন, “এত অল্প সময়ে চট্টগ্রাম শহরের সব মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে চাই। ৪৩টি ওয়ার্ড, প্রায় ২০ লাখ লোক, ১৫ দিনে যাওয়া খুব অবাস্তব।
“আমাদের তাই মিনি ট্রাক থাকবে, ট্রাকে করে প্রচার চালাব। এতে ক্লোজ কন্টাক্ট কম হবে, প্রচারও চলবে, করোনার প্রাদুর্ভাব থেকেও দূরে থাকা যাবে।”
নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত বলেন, “করোনা যেহেতু বাংলাদেশে চিহ্নিত হয়েছে এটা আমাদের সকলের প্রচারের একটা অংশ হওয়া উচিত। সব প্রার্থীর উচিত এই বিষয়ে সর্তক থাকা।
“জনগণ যেন আতঙ্কিত না হয়। কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সাথে সাথে সরকারি সংস্থাকে জানানো উচিত। আমরা মানুষকে সচেতন করব, যাতে কেউ আতঙ্কিত না হয়।”
‘নগর পিতা’ নয় বরং ‘নগর সেবক’ হতে চান উল্লেখ করে শাহাদাত বলেন, “পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে জলাবদ্ধতা নিরসন, পরিবেশ দূষণ রোধ, নিরাপদ সড়ক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত চট্টগ্রাম করতে হবে। জয়ী হলে সে লক্ষ্যে কাজ করব।
“প্রচারণা শুরু হলে বোঝা যাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা। সবাইকে অনুরোধ করব নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য।”
চট্টগ্রামে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের ভোট প্রার্থনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের প্রার্থী পরিবর্তনই প্রমাণ করে চট্টগ্রামে উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়ে থাকলে আগের প্রার্থী বদল হতো না।”
নিজের নির্বাচনী প্রচারে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীও।
তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে সর্তকতা অবলম্বন করা হবে, যতটুকু পারা যায়।”
রেজাউল করিম বলেন, “শতভাগ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালানো হবে। আমরা ডোর টু ডোর যাব। চট্টগ্রামের উন্নয়নে নেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরব।
“নান্দনিক-সুন্দর এবং সন্ত্রাস-মাদক ও জঞ্জালমুক্ত চট্টগ্রাম গড়ে তোলা আমার লক্ষ্য। পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়ে তেলার যে স্বপ্ন তা জনগণকে বলব।”
এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বলেন, “চট্টগ্রামে কিছু সমস্যা আছে, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ, রাস্তাঘাট, বর্জ্য অপসারণের সমস্যা, সেগুলো নিরসনেই কাজ করব। জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে জননেত্রীর দেওয়া প্রকল্প চলমান আছে। কাজ শেষ করতে পারলে সুফল মিলবে।”
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা সাড়ে ১০টায়।
১০টা ৩৫ মিনিটে মিলনায়তনে আসেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি প্রথম সারিতে বসা সবার সাথে করর্মদন করে গিয়ে বসেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পাশে।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪ডটকম