ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য ⇓
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. প্রচ্ছদ
  11. প্রবাস
  12. প্রযুক্তি
  13. ফিচার
  14. বিনোদন
  15. মতামত

আমাদের আইন শৃঙ্খলা ও পুলিশ

বাংলানিউজ/এ
মার্চ ১৪, ২০২৪ ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার: ‘‘কথায় আছে পেটে খেলে, পিঠে সয়’’বাংলাদেশের সাধারণ গরীব মানুষের পাতেও খাবার নেই। আবার তাদের পিঠেও সইতে হয়। আমাদের তথাকথিত পুলিশ বাহিনীর কথা আর কি বলব। স্বাধীনতার পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তাদের অনৈতিক কাজের হিসেব করলে, একটা বিশ্ব কোষ রচনা করে ফেলা যায়। আমি ব্যাপারটা একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন গুলোর রিপোর্টে নজর বুলালে বিষয়টা পানির মতো পরিস্কার হয় যাবে।
জুলিয়া বেøকনের (সিনিয়র এশিয়া রিসার্চার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) বাংলাদেশী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্ক বলেছেন, মাবাধিকারের প্রতি সত্যিকারের অঙ্গীকার দেখানোর জন্য সরকারের একমাত্র উপায় হল আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করা, যার মধ্যে গুরুতর হলো নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহারকে মোকাবেলা করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সমালোচক এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের নির্যাতন বাংলাদেশ সরকারের ‘সকলের জন্য মানবাধিকার রক্ষার’ অঙ্গীকারকে অর্থহীন করে তুলেছে।
এই বিষয়গুলো বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। বাংলাদেশের পুলিশ স্বেচ্ছাচারিতা, অনৈতিক কর্মকান্ড, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, ঘুষ, অবৈধ হত্যাকান্ড, মিথ্যা মামলা, হয়রানি, ইত্যাদি অনেক ধরণের অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এদেশে থানায় পারত পক্ষে কেউ যেতে চায়না। কারণ, পুলিশ সাহায্য করবে কি না, তা নির্ভর করে ভিক্টিম এর সামাজিক প্রতিপত্তি, পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্ষমতাসীন দলে সাথে সু-সম্পর্কের উপর। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের সাম্প্রতিক অভিযোগগুলির ব্যাপকতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে। এই ধরণের কাজের অন্তর্ভূক্ত, মারধর, বৈদ্যুতিক শক, ওয়াটারবোর্ডিং, ইচ্ছাকৃত ভাবে পঙ্গু করার জন্য শুটিং, হাঁটু ক্যাপিং, মৃত্যুদÐ এবং জোরপূর্বক নগ্নতা। বলপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে শত শত মানুষ। শ্রমিক সংগঠন,, শহীদুল ইসলামের পুলিশি হত্যাকাণ্ড শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ও সংস্কার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে।
আইনজীবিরা বলছেন যে, বাংলাদেশের পুলিশ প্রায়ই রিপোর্ট দিতে অস্বীকার করে বা বছরের পর বছর ধরে খোলা তদন্তে মামলা ছেড়ে দেয়। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতন করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার যারা এই লঙ্ঘনের সাথে জড়িত তাদের পদোন্নতি এবং পুরস্কৃত করা অব্যাহত রেখেছে। একজন দেশ প্রেমিক, সচেতন নাগরিক হিসাবে আমি এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।

লেখক: মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী
ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার ও
সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, কমলগঞ্জ।