মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি ॥
ভোলার মনপুরা উপজেলা সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কোন যন্ত্রপাতি নেই। জনগণকে সর্তক করতে আজ অবধি কোন ব্যবস্থা নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিদেশ ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে নামমাত্র আইসোলেশনের জন্য একটি রুম আছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে গত কয়েক দিনে চীন থেকে ১ জন, ভারত থেকে ১৫ জন, ওমান থেকে ৪ জন, সৌদিআরব থেকে ১ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ জন ও মালেশিয়া থেকে ১ জন সহ ২৫ জন বিদেশ ফেরত মনপুরায় অবস্থান করলেও এদের বিষয়ে কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় আতংকে রয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের দেড় লাখ বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবী এদের সবাইকে একটি বিশেষ জায়গায় রেখে পর্যবেক্ষন করা দরকার। তা নাহলে এদের মধ্যে কেউ করোনা ভাইরাস নিয়ে আসলে পুরো এলাকায় এর বিস্তার ঘটতে পারে।
এদিকে করোনা বিষয়ে বিদেশ ফেরত ২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাসের সভাপত্বিতে জরুরী সভা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই সভায় হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কোয়ারেন্টাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুর রশীদকে হাসপাতালে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক।
এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুর রশীদ জানান, করোনা শনাক্তে কোন ধরনের যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। তবে ৩ বেডের একটি আইসোলেশন রুম আছে। দুই-একদিনের মধ্যে যন্ত্রপাতি আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, করোনা ও বিদেশ ফেরত নিয়ে জরুরী সভা করা হয়েছে। বিদেশ ফেরত ২৫ জনকে বাড়িতে অবজারভেশন করা হবে। বাজারে বাজারে মাইকিং সহ সচেতনা সভা করা হবে। এছাড়াও পরিস্থিতি বিবেচনায় হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারন্টাইন করা হবে।
