চট্টগ্রাম অফিস:: বাংলানিউজ টোয়েন্টিওয়ান ডটকম::
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর চট্টগ্রাম থেকে বাস না ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মালিকরা।
বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার অভিযান চালিয়ে ঈদ উপলক্ষে ‘বাড়তি ভাড়া’ নেওয়ায় কয়েকটি বাস কোম্পানিকে জরিমানা করার পর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সব রুটের বাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মালিকরা।
রাত ৯টার দিকে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভায় এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সমিতির নেতারা। ঘণ্টাখানেক পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিওয়ান ডটকমকে জানান, “ভাড়া নিয়ে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না বলে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেওয়ায় আমরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। এখন আবার সব রুটের বাস ছাড়া হবে।”
দুপুরে বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক নগরীর বিআরটিসি মোড়ে অভিযান চালিয়ে ঈদ যাত্রায় ‘বাড়তি ভাড়া নেওয়ায়’ হানিফ পরিবহনের কাউন্টার পরিচালককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরে চট্টগ্রামের অলংকার মোড় ও ভাটিয়ারির দূরপাল্লার বাসগুলোতেও অভিযান চালানো হয়। একই অপরাধে অপর দুটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মনজুরুল হক বাংলানিউজ টোয়েন্টিওয়ান ডটকমকে জানান, “বিআরটিসি মোড়ে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার থেকে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
জরিমানার পর চট্টগ্রাম থেকে বাস বন্ধ করলেন মালিকরা
“আফতাব নামে এক যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে দিনাজপুরের একটি টিকেট হানিফ থেকে ১৪০০ টাকায় কেনার অভিযোগ করেন, অথচ তার টিকেটে লেখা ছিল ১৩০০ টাকা। বাড়তি ভাড়া নেওয়া পরিবহন কাউন্টারটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”
এদিকে ভাটিয়ারিতেও দূরপাল্লার বিভিন্ন গন্তব্যে বাসের টিকেটের দাম বেশি রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। যশোরের টিকেটে বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় সিডিএম ট্রাভেলস নামের একটি পরিবহনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অপরাধে অলংকার এলাকায় নাটোরগামী বাসের টিকেটের দাম বেশি রাখায় নাভিলা পরিবহনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান এস এম মনুজুল হক।
এই জরিমানা করার প্রতিবাদ জানিয়ে বাস মালিক সমিতির নেতা কফিল উদ্দিন বলেন, “আমরা বাস মালিকরা অন্য সময়গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম টাকায় যাত্রী পরিবহন করে থাকি। ঈদ আসলে আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করে থাকি।
“কিন্তু এই ভাড়াকেই বাড়তি ভাড়া হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আমরা ন্যায্য ভাড়া আদায়ের সুযোগ চাই।”