নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্তের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোল উৎসবের আয়োজন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপক জনসমাগম না করতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
“আমরা রাজধানীর প্রতিটি থানা কমিটিকে বলে দিয়েছিলাম, দোল উৎসবে মূল পূজার পরে কোনো মন্দিরে যেন ব্যাপক জনসমাগম না হয়। এবার দোল উৎসব সারা দেশের মন্দিরগুলোতে সংক্ষিপ্ত আকারে পালন করা হচ্ছে।”
সনাতন ধর্মমতে, তৎসম শব্দ ‘হোরি’র অপভ্রংশ হোলি। সেখান থেকে হোলক, হোলিকা, যার অর্থ ডাইনি। স্কন্দপুরাণের ফাল্গুন মাহাত্ম্য অংশের হোলিকাবধ কাহিনী থেকেই এ উৎসবের উৎপত্তি বলে পণ্ডিতদের ভাষ্য।
বৈষ্ণব বিশ্বাসীদের কেউ কেউ একে গৌর-পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করেন। ফাল্গুনি পূর্ণিমার এ তিথিতে ‘কলিযুগের অবতার’ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জন্মতিথি থাকায় আনন্দের পাশাপাশি ধর্মীয় আচারও পালন করেন তারা।
এ বছর এ পূজার মূল আয়োজন হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। মন্দিরের নিত্য পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী ধর্মমত নির্বিশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেন।
সনাতন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী “এ তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপীদের নিয়ে লীলাখেলায় বলেছিলেন- ‘তোমরা আমার কাছে যা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাদের তাই দেব’, ভগবানের কাছে আজ তাই আমাদের অনেক চাওয়া।’
বৃন্দাবনের সেই ঘটনা স্মরণে হিন্দুরা এই তিথি উদযাপন করেন।
সকালে পূজার শুরু থেকেই নানা রঙের অর্ঘ্য নিয়ে নানা বয়সী ভক্তদের মন্দির প্রাঙ্গণে আসতে দেখা যায়।
লালবাগ থেকে আসা রূপা সাহা বলেন, “চারপাশে এত সব রোগের কথা শোনা যাচ্ছে। আজ ভগবানের চরণে আবির নিবেদন করে প্রার্থনা করেছি, তিনি যেন আমাদের, আমাদের পুরো দেশটাকে রোগমুক্ত রাখেন। সকলে যেন সুস্থ থাকে।”
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পূজা শেষ হলে মন্দির প্রাঙ্গণে আসা ভক্তরা আবির নিয়ে উৎসবে মাতেন।
তবে অন্যবারের তুলনায় এ বছর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভক্তদের আনাগোণা ছিল কম।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪ডটকম